সিরাজগঞ্জে বিদ্রোহী প্রার্থীর ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা

সিরাজগঞ্জের কালিহরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও তাঁর সমর্থকদের ওপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
এ সময় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান মিজানকে লাঞ্ছিত এবং দুই কর্মীকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। একই সময়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা নৌকা ছাড়া অন্য কোনো মার্কার ভোট কোনো ব্যক্তি চাইতে পারবে না এবং ভোট দিলেও নৌকা জিতবে না দিলেও জিতবে বলে ঘোষণা দেন।
আজ রোববার বিকেলে বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান বলেন, দুপুর ১২টার দিকে চারজন কর্মী নিয়ে তিনি সরকারপাড়া মহল্লায় নির্বাচনী গণসংযোগ করছিলেন। এ সময় জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদধারী নেতারা স্থানীয় দিঘলকান্দি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জলিল, রানা, আবদুল আলিম ও নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে ২৫-৩০টি মোটরসাইকেলে শতাধিক ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নৌকা ছাড়া কোনো মার্কা থাকবে না বলে স্লোগান দিয়ে তাঁর কর্মী আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম তালাশ ও আজিজলকে বেধরক মারপিট করে। বাধা দিতে গেলে তাঁকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মিজান বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর ক্যাডাররা ভোটারদের ভয়ভীতি-হুমকি দিচ্ছে। ভোট কেটে নেওয়া হবে বলে প্রকাশ্য বলে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই বলে বেড়াচ্ছেন ৫ ভোট পেলেও তিনি চেয়ারম্যান হবেন। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্বাচনের দিন জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা যাতে নির্বাচনী এলাকায় সন্ত্রাস বা ভোটকেন্দ্র দখল করতে না পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এদিকে, জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতারা প্রতিদিন ৫০-৬০টি করে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে ও ইউনিয়নগুলোর সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে ২৫ মার্চ বহুলী ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী বারি তালুকদার জনসংযোগের সময় একই বাহিনী চেয়ারম্যান বারি তালুকদারকে মারপিট করে এবং ওই কাচারি ঘরে থাকা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বলেন, বিচ্ছিন্ন দুই একটি ঘটনা ঘটতে পারে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।