শিশু অপহরণের দায়ে খালুকে যাবজ্জীবন

স্ত্রীর বড় বোনের শিশু ছেলেকে অপহরণের দায়ে জনি নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আহাম্মদ এই রায় দেন।
আসামি জনি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তাঁর এই দণ্ডাদেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার রায়পুরা উপজেলার তুলাতলী গ্রামের আবদুল মতিনের তৃতীয় মেয়ে স্বপ্না আক্তারের বিয়ে হয় নরসিংদী শহর এলাকার বীরপুর মহল্লাহার মাহতাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে। তাদের দাম্পত্য জীবনে মাশরাবিন চৌধুরী আদিত্য ও অর্পা নামের দুই সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে তুলাতলী গ্রামের জনি মোস্তাফিজের শ্যালিকা সুমাইয়া আক্তার নিপাকে জোর করে বিয়ে করে। এই ঘটনা নিপার বাবা-মা মেনে না নেওয়ায় জনি ঘটনার পেছনে তাঁর ভায়রা মোস্তাফিজের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করে। এজন্য তিনি ভায়রার সন্তানদের ক্ষতি করার জন্য চেষ্টা চালান। ২০০৯ সালের ২ অক্টোবর মোস্তাফিজ তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে হঠাৎ দেখতে পান তাঁর সাড়ে তিন বছরের ছেলে আদিত্য ঘরে নেই। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে হারুন মিয়া নামের এক মুদি দোকানদার জানান, জনি তাঁর ছেলের মুখ চেপে ধরে নিয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে মোস্তাফিজ পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে একই গ্রামের উত্তর পাশে খালপাড় থেকে আদিত্যকে উদ্ধার করে জনিকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে মামলা হয়। পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র অনুযায়ী ছয়জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আজ রায় দেন। মামলা চলাকালে জনি জামিন নিয়ে পালিয়ে যান।