পয়লা বৈশাখে অভিজাত হোটেলে বিশেষ অনুষ্ঠানের নির্দেশ
আসছে পয়লা বৈশাখের দিন রাজধানীসহ দেশের সব অভিজাত হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ক্লাবে বিশেষ অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী বাংলা খাবারের আয়োজনের নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের হোটেল-রেস্তোরাঁ শাখা থেকে জারি করা পরিপত্রে বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সাজাতে মালিক ও কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্র জারির বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইংরেজি নববর্ষসহ বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে অভিজাত হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনেকেই এটাকে উপভোগ করেন। আমরা চাই বাংলা নববর্ষতেও যাতে এ ধরনের বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমাদের দেশের কিছু কিছু হোটেলে আগে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও তা ছিল খুব অল্প পরিসরে। এটাকে সার্বজনীন রূপ দিয়ে আরো ব্যাপক আয়োজনের জন্যই এ পরিপত্র জারি করা হয়েছে।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার উপসচিব শামীম আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এ পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয় ও আন্তমন্ত্রণালয় সভার কার্যবিবরণীর আলোকে অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৪১৭ বঙ্গাব্দ হতে বাংলা নববর্ষ জাতীয়ভাবে পালন করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ জাতীয়ভাবে উদযাপনের নিমিত্তে অভিজাত হোটেল ও ক্লাবে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজনে সরকার সদয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ অবস্থায় বাংলা নববর্ষ ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
এ পরিপত্র দেশের সব অভিজাত হোটেল, রেস্তোঁরা ও ক্লাবের জন্যই প্রযোজ্য। জেলা পর্যায়েও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলা নববর্ষকে বিশেষভাবে উদযাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, ‘এ বছর সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বৈশাখী উৎসব ভাতা চালু করা হয়েছে। আমাদের সংস্কৃতি হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত। পহেলা বৈশাখের উৎসবের সঙ্গে দেশের সকল পর্যায়ের মানুষকে সম্পৃক্ত করতেই আমাদের এ উদ্যোগ।’