যশোর মেডিকেল কলেজে ভাঙচুর

যশোর মেডিকেল কলেজ স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর এবং নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কার্যালয় ও প্যাথলজি বিভাগ ভাঙচুর করেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
যশোর মেডিকেল কলেজের প্রধান সহকারী আব্দুস সবুর খান জানান, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টার দিকে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে চান। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে কক্ষে ঢুকে চিৎকার চেঁচামেচি এবং কার্যালয়ের জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। কিছুক্ষণ পর প্যাথলজি বিভাগেও ভাঙচুর করে তারা। ঘটনার সময় বহিরাগতদেরও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ভাঙচুর করতে দেখা গেছে।
কলেজের প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দীর্ঘদিনের দাবি থেকেই এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের একটি অংশে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শেষ হলেও যাওয়ার রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি এখনো।
একটি সূত্র জানায়, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা পঞ্চমবর্ষে অকৃতকার্য হয়েছেন। তাঁদের পাস করিয়ে দেওয়ার দাবি অগ্রাহ্য হওয়ায় এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবু হেনা মো. মাহবুবুল মওলা চৌধুরী বলেন, ‘পরীক্ষার ফল মাত্র একদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে। কে পাস করেছে আর কে ফেল করেছে তা এখনো সবাই জানে না। ফলে পাস ফেল নিয়ে কোনো ঘটনা ঘটার কথা নয়।’
অধ্যক্ষ আবু হেনা মো. মাহবুবুল মওলা চৌধুরী জানান, ভাঙচুরের ঘটনায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা হয়। সেখানে ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদারকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। প্রতিবেদন পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, হাসপাতালে ভাঙচুরের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ পুলিশকে কোনো অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।