রডের বদলে বাঁশ : ঠিকাদারসহ আসামি চার

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় উদ্ভিদ সংগনিরোধ ভবন নির্মাণে বাঁশ, সুরকিসহ নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগে ঠিকাদার, পরামর্শক ফার্মের কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকৌশলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিনিয়র মনিটরিং অ্যান্ড ইভালিউশন অফিসার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক মেরিনা জেবুন্নাহার বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত হোসেন জানান, মামলার আসামিরা হলেন—ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয় ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মনি সিং, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সাত্তার, ক্রয় বিশেষজ্ঞ আইয়ুব হোসেন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও আইসিটি ব্যবস্থাপনা শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন।
মামলাটি তদন্তের জন্য থানার উপপরিদর্শক কবির হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।
এর আগে চলতি মাসে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কার্যালয় ও গবেষণাগার তৈরিতে ভয়াবহ অনিয়ম ধরা পড়ে। একাধিক জায়গায় লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার ছাড়াও ভবন নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর কর্মকর্তারা কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
এদিকে, গতকাল সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে ভবন নির্মাণে ‘সাংঘাতিক অনিয়ম’ পেয়েছেন জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু। তিনি বলেছেন, ‘অভিযুক্তরা বেশির ভাগ নমুনা সরিয়ে ফেলেছে।’
বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দুই কোটি ৪১ লাখ টাকা খরচে গত বছর ডিসেম্বরে ভবনটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। কাজ শেষ করে আগামী জুন মাসে ভবনটি হস্তান্তরের কথা আছে।