বাগেরহাটে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ

বাগেরহাটে রামপালে গোনাই বেলাই গ্রামে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান খান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামির নাম হাবিবুর রহমান। তিনি মংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার (ইপিজেড) কর্মচারী ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাগেরহাট দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান খান আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ১২ বছর আগে মংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা গ্রামর তোরাব আলী মোল্লার মেয়ে হাসিনা বেগমের বিয়ে হয় রামপাল উপজেলার গোনাই বেলাইসংলগ্ন মৃত জহির সরদারের ছেলে মো. হাবিব সরদারের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে তাঁদের মাঝেমধ্যেই ঝগড়া-বিবাদ লাগত। ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর সকালে হাসিনা বেগমের লাশ পাওয়া যায় তাঁর বড় ভাইয়ের চিংড়ি ঘেরের পাশে একটি গোলপাতার ছাউনিতে। পরের দিন হাসিনা বেগমের ভাই শামসুল মোল্লা বাদী হয়ে তাঁর স্বামী হাবিব সরদারকে আসামি করে রামপাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হাসিনাকে আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর রামপাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ঠাকুর দাস মণ্ডল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পরে হাসিনার স্বামী হাবিবের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে আজ এ রায় প্রদান করেন আদালত। এ দম্পতির ১১ বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।
ক্যাপ : বাগেরহাটে স্ত্রী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া হাবিবুর রহমান। ছবি : এনটিভি