দিনাজপুরে চার বছরের শিশুকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলি সীমান্তে আবতাহি (৪) নামের এক শিশুকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার শিশুটিকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃত শিশুটি হাকিমপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আলহাজ মামুনুর রশিদ আজাদের একমাত্র সন্তান।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে শিশুটির অভিভাবকের কাছে মুঠোফোনে খুদেবার্তার মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে হাকিমপুর মুহাড়াপাড়ার নিজ বাড়ির বারান্দায় একা একা খেলাধুলার সময় অপহৃত হয় আবতাহি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে রাতে হাকিমপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন অধ্যাপক আলহাজ মামুনুর রশিদ আজাদ। পরে মঙ্গলবার সকালে মুক্তিপণ দাবি করে মোবাইল ফোনে খুদেবার্তা দেয় অপহরণকারীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ইমরানুল কবির জানান, যে মোবাইল থেকে খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে, তা এখন বন্ধ আছে। নম্বরটি শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি অপহরণকারীরা ধরা পড়বে।
চার মাস পর কবর থেকে কৃষকের লাশ উত্তোলন
এদিকে, জেলার খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছিট আলোকডিহি গ্রামের কৃষক ইছহাক আলী কান্দুর লাশ চার মাস চার দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবার ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়।
গতকাল বিকেলে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজেবুর রহমান, দিনাজপুর পিবিআইর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এন এম নাসিরুদ্দীন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
পরে আবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হন কৃষক ইছহাক আলী কান্দু।