শরীয়তপুরে আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা

শরীয়তপুরের সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর শিকদারের প্রচারে বাধা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকসহ তিনজন আহত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুকের সমর্থকরা তাঁদের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ জাহাঙ্গীর শিকদারের।
তবে ভোট চাইতে গিয়ে গ্রামে অবৈধভাবে টাকা বিতরণ করার সময় এলাকাবাসী জাহাঙ্গীর শিকদারকে ধাওয়া দিয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর ফারুক মোল্লা।
পালং থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কৃত্তিনগর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর শিকদার ও তাঁর সমর্থকরা। গ্রামে ঢোকার পথে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুকের সমর্থকরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেন তাঁরা। হামলায় প্রার্থী জাহাঙ্গীর শিকদার ও তাঁর সমর্থক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হালিম মোল্লা, কাজী মিল্লাত ও দুলাল আহত হন। এ ঘটনায় চন্দ্রপুর বাজারে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক মোল্লা জানান, নির্বাচনী প্রচারকালে অবৈধ টাকা বিতরণের সময় এলাকাবাসী জাহাঙ্গীর শিকদার ও তাঁর লোকজনকে ধাওয়া দেয়।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীর শিকদার বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমি ও আমার সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারে কৃত্তিনগর গ্রামের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে আমাদের গাড়ি থামিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক মোল্লার লোকজন প্রথমে আমার সমর্থক সাবেক চেয়ারম্যান হালিম মোল্লার ওপর হামলা করে। পরে আমার কোমরে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। এ সময় তারা আমাদের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।’
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক মোল্লা বলেন, ‘আমার কোনো লোকজন তাঁদের ওপর হামলা করেনি।’
পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। চন্দ্রপুর বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’