পাঁচ শিশুর তিনজনই মারা গেল

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে তিনজনই মারা গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত গভীর রাতে একজন এবং আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আরো দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকরা জনিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় বাঁচানো যায়নি শিশুদের।
দীর্ঘ বন্ধ্যাত্বের পর গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর উপজেলার শেরেগুল ইসলামের স্ত্রী আরজিনা বেগম। তিন ছেলে দুই মেয়ে জন্ম নেওয়ায় বেশ আনন্দে ছিল পরিবারটি। কিন্তু গত বুধবার রাত সাড়ে ৩টায় এক শিশুর মৃত্যু হয়। ১২ ঘণ্টা না পেরুতেই আজ বেলা সাড়ে ৩টায় আরো দুটি শিশু মৃত্যু হয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মনিকা মজুমদার বলেন, ‘শিশুদের প্রথম সমস্যা হচ্ছে, এরা অপরিণত। যখন জন্ম নেওয়ার কথা তার অনেক আগেই এরা জন্ম নিয়েছে। এ কারণে শরীরের কোনো অঙ্গই পরিপুষ্ট হয়নি। ভেন্টিলেটরের সুবিধা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই। এটা কৃত্রিম শ্বাসের যন্ত্র। শিশু নিজে থেকে শ্বাস নিতে না পারলে ওই যন্ত্র কৃত্রিমভাব শ্বাস দিবে। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের কাছে যা আছে তা দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে।’শিশুদের বাবা শেরেগুল ইসলাম কেবলই কাঁদছিলেন। একে একে শিশুদের মৃত্যু মেনে নিতে পারছিলেন না। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা আমাকে বললেন, শিশুদের ফুসফুস নাকি পুরোটা হয়নি, শ্বাস নিতে পারছে না, সময়ের আগেই জন্ম নিয়েছে। এদের বাঁচাতে ফুসফুসের মেশিন প্রয়োজন। সে মেশিন এখানে নেই, ঢাকায় আছে।’