‘রাস্তার পাশের জায়গা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে না’

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সৌন্দর্যবর্ধন ও প্রকৃত লেক হিসেবে গড়ে তুলতে গুলশান লেক খনন এবং এর সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। ঢাকার নাগরিক জীবনে স্বস্তি প্রদানের জন্য রাস্তার পাশের খালি জায়গার সৌন্দর্য বাড়ানো হচ্ছে। এসব স্থান কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারের জন্য লিজ দেওয়া হবে না। এসব স্থানে গাছ লাগানো হবে এবং জনগণের বসার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাতিরঝিল প্রকল্পের গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে হাতিরঝিল-গুলশান লেকের সংযোগস্থলে নির্মিত ব্রিজের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় ৯৩ মিটার দীর্ঘ এ ব্রিজ নির্মাণে সাত কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এ ব্রিজ নির্মাণের ফলে মেরুল বাড্ডার সঙ্গে হাতিরঝিলের সরাসরি যোগাযোগ এবং গুলশান লেকের ওয়াকওয়ের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপিত হলো। এর ফলে বাড্ডা ও গুলশান এলাকার যানজট কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘গুলশান লেকের ওপর সাত-আটটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এর ফলে জনসাধারণ সহজেই এপার থেকে ওপারে চলাফেরা করতে পারবে। সিটি করপোরেশন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে এসব কাজ করবে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘ঢাকাকে স্বস্তিদায়ক করে তুলতে সিটি করপোরেশন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে, ঢাকাকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে। সরকারের সহযোগিতায় উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তুলে কাজ করছে।’
এ সময় হাতিরঝিল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ উপস্থিত ছিলেন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এসডব্লিউও এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।