শঙ্খচিলের শুটিংয়ে এসে সংবর্ধিত প্রসেনজিৎ

ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার ‘শঙ্খচিল’ চলচ্চিত্রের শুটিং করতে এসে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে সাতক্ষীরায় সংবর্ধিত হলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও পরিচালক গৌতম ঘোষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন পুলিশ সুপার (এসপি) চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির। এ সময় তাঁরা শুটিংয়ে সহযোগিতার জন্য পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির পাশাপাশি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানটি স্থানীয় বিপুলসংখ্যক জনতা উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে চিত্রনায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কলকাতা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টার দূরত্বে এসে আমার তো মনেই হচ্ছে না, আমি বাইরে কোথাও এসেছি। আমার মনে হচ্ছে, নিজের জায়গায় আছি। আমরা যেখানে যেখানে কাজ করেছি, সেখানকার প্রত্যেকটা মানুষ সহযোগিতা করেছেন। সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ভালোবাসা। জয় বাংলা।’
পরিচালক গৌতম ঘোষ সহযোগিতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা চাইছি, বাংলাদেশ-ভারত প্রযোজনায় আরো ছবি হোক। এর আগে আমি ‘মনের মানুষ’ ও ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ছবির শুটিং করেছি বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায়। এবার সাতক্ষীরায় কাজ করছি। এখানকার মানুষ ও প্রশাসন এত সাহায্য করছেন যে বলে বোঝাতে পারব না। পুলিশ ও বিজিবি যেভাবে সাহায্য করেছে, তা অকল্পনীয়।’
‘বালাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় সাতক্ষীরায় ইছামতির তীরে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে এসে স্বপ্ন সফল হলো।’ বলেন গৌতম ঘোষ।
দুই দেশের সীমানা নির্ধারণকারী নদী সাতক্ষীরার ইছামতির তীরে চলছে ‘শঙ্খচিল’ চলচ্চিত্রের শুটিং। গত ২৩ মার্চ থেকে দেবহাটায় এ ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। শুটিং স্পট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ১৮৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত দেবহাটার টাউন শ্রীপুর পৌরসভা (যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম পৌরসভা), সেখানকার জমিদারবাড়ি, টাউন শ্রীপুর হাইস্কুল, ভাতশালা, শাখরা কোমরপুর, দেবহাটার ব্রিটিশ শাসনামলের নীলকুঠি, ৩০০ বছরের পুরোনো বটবৃক্ষ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহনকারী বিভিন্ন স্থান, পশ্চিম বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত ডা. বিধান চন্দ্র রায় ও ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল শংকর রায় চৌধুরীর জন্মভূমি ইত্যাদি।
‘শঙ্খচিল’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে প্রসেনজিৎ ছাড়াও অংশ নিচ্ছেন শ্যামল দত্ত, কুসুম সিকদারসহ দুই বাংলার কলাকুশলীরা।