হরিণাকুণ্ডুতে সংঘর্ষে আহত ৩০, হৃদরোগে একজনের মৃত্যু

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলশী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন।
আহতদের মধ্যে ২২ জনকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এবং দুজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ফলশী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালীন দিদারুল (৫০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি ফলশী গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে। তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা পারভীন দাবি করেছেন, দিদারুল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
হরিনাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দীন বলেন, সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুর রহমানের সর্মথকদের মধ্যে হঠাৎ করেই সংঘর্ষ বাধে। উভয়পক্ষ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউএনও মনিরা পারভীন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফজলুর রহমান দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন দিদারুলকে মারপিট করে। তার পরই তিনি মারা যান। এট একটি হত্যাকাণ্ড।
এ ঘটনার জন্য দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একে অপরকে দায়ী করেছেন।
এ উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ৭ মে।