সাবেক শাশুড়িকে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা!

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামে ফুলসুরাতন (৭৫) নামের এক বৃদ্ধাকে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মেয়ের সাবেক জামাই হাউস আলী আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধার স্বজনরা।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ফুলসুরাতনের মৃত্যু হয়। ফুলসুরাতন সহড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত আবু বক্করের স্ত্রী।
ফুলসুরাতনের পরিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফুলসুরাতনের মেয়ে মাটিকাটা শ্রমিক আম্বিয়া বেগমের সঙ্গে ষোলটাকার মাটিকাটা শ্রমিক হাউস আলীর বিয়ে হয়। গণ্ডগোলের জেরে ২১ দিন আগে আম্বিয়া বেগম হাউস আলীকে তালাক দিয়ে মায়ের বাড়িতে ফিরে আসেন। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন হাউস। গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফুলসুরাতন বেগম নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। তাঁকে আম্বিয়া বেগম মনে করে হাউস আলী শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় আম্বিয়া বাড়িতে ছিলেন না। পরে প্রতিবেশীরা ফুলসুরাতন বেগমকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, পেট্রলের আগুনে শরীরের ৮০ ভাগ আগুনে ঝলসে গেছে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হলেও অর্থাভাবে নিয়ে যেতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। পরে আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান ফুলসুরাতন।
এদিকে খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন। তিনি জানান, অভিযুক্ত হাউসকে আটকের চেষ্টা চলছে। তাঁকে আসামি করে নিহতের মেয়ে মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে।