পতিসরে রবীন্দ্রভক্তদের ঢল

উৎসবমুখর পরিবেশে নওগাঁর পতিসরের কাচারী বাড়ি প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী ১৫৫তম রবীন্দ্রজয়ন্তী শুরু হয়েছে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাচারী বাড়ির দেবেন্দ্র মঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত পরিবশেন, ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে কবির জন্মোৎসবের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ শহিদুজ্জামান সরকার।
এদিকে পতিসরের অনুষ্ঠানে কবির ভক্ত, অনুরাগী, গবেষক ও শিল্পী ছাড়াও সাধারণ মানুষের ঢল নামে। একইসঙ্গে পতিসরের কাচারী বাড়ির প্রাঙ্গণে বসেছে গ্রামীণ মেলা।
এ উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নওগাঁর জেলা প্রশাসক ড. মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে দেবেন্দ্র মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম, সাবেক সংসদ সদস্য ওহিদুর রহমান, পশ্চিমবঙ্গের কবি ও লেখক জ্যোতিরীন্দ্রনাথ ভাদুড়ী, রবীন্দ্র গবেষক আশরাফুল ইসলাম, গ্রামীণফোনের বিভাগীয় প্রধান রাশেদুল হক রাজন, উপজেলা চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান ও আল ফারুক জেমস, জেলা পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার বিশ্বকবির স্মৃতি সংরক্ষণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছেন। তাঁর ভাবনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার শিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ জ্ঞানভিত্তিক জাতি গঠন ছাড়া সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
বক্তারা আরো বলেন, বিশ্বকবি পতিসরে পেয়েছিলেন প্রাণের স্পন্দন। দেখেছেন দরিদ্র প্রজাদের দুঃখ-দুর্শশা। জামদারি প্রথা ভুলে গিয়ে প্রজাদের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন প্রজাদের উন্নয়ন করতে। প্রজাদের উন্নয়নে নিয়েছেন নানান পদক্ষেপ। কিন্তু এখনো পতিসর এলাকা উন্নয়নে অনেকটা পিছিয়ে আছে। আগামীতে কবির এলাকার উন্নয়ন ও কবির স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার কাজ করছে।
অলোচনা শেষে আত্রাই, রানীনগর ও নওগাঁর স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে দেবেন্দ্র মঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। শেষে চৌকাঠ নাট্যাঞ্চলের উদ্যোগে রাজা ফকিরের পরিচালনায় ‘নাগর’ নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়।