কৃষিমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনায় হুইপ আতিক

কৃষিমন্ত্রী ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরীর কঠোর সমালোচনা করেছেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরকারদলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক।
গতকাল সোমবার দুপুরে শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় কৃষিমন্ত্রীর সমালোচনা করেন হুইপ।
মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আতিক বলেন, ‘শেরপুরে মতিয়ার শাসন চলতে দেওয়া হবে না। যারা মতিয়া চৌধুরীর চামচা বনে গিয়ে নৌকার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তারা আওয়ামী লীগের সদস্য থাকার অধিকার হারিয়েছে।’
শেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শেরপুর সদরের বাজিতখিলা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আমির আলী সরকারের সভাপতিত্বে শেরপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিজয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেরপুরে আওয়ামী রাজনীতির নানা দিক নিয়ে কথা বলেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক।
শান্ত শেরপুরকে অশান্ত করার জন্য মতিয়া চৌধুরীকে দায়ী করে আতিক বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরী শান্ত শেরপুরকে অশান্ত করার জন্য ইশারায় প্রশাসনকে ব্যবহার করছেন। তিনি অপরাজনীতির মাধ্যমে নৌকার প্রার্থীদের পরাজিত করে আমাকে খাটো করার চেষ্টা করেছেন। এর ফলে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে নৌকার চার প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু চতুর্থ ধাপে প্রশাসন নিরপেক্ষ অবস্থায় ফেরায় তা ভেস্তে গেছে। এর ফলে সাতটির মধ্যে ছয়টিতেই জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।’
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে আতিক বলেন, ‘একটি হাই স্কুলের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে অপপ্রচারের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু আমি না থাকলেও শেষ পর্যন্ত নৌকার প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন—শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত প্রমুখ।