শফিক রেহমানকে ডিভিশন দিতে হাইকোর্টের রুল

বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমানকে কারাগারে কেন ডিভিশন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাঁকে ডিভিশন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি তারিকুল হাকিম ও বিচারপতি মো. ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শফিক রেহমানকে কারাগারে ডিভিশন প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট অসাদুজ্জামান।
শফিক রেহমানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুই দফা শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। এর আগে ৫ মে শফিক রেহমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
শফিক রেহমানের আইনজীবীরা জানান, শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। শফিক রেহমান একজন সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা। এ ছাড়া তিনি একজন হার্টের রোগী। তাঁর শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। এ জন্য তাঁকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। এর আগে নিম্ন আদালতে তাঁর ডিভিশন দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হলে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
গত ১৬ এপ্রিল সাংবাদিক শফিক রেহমানের পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ২২ এপ্রিল আবার সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। ওই দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় দফায় আরো পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। ১৬ এপ্রিল সকালে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের বাসা থেকে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতে আনা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যে গিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গত বছরের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় দণ্ডবিধি আইনের ১২০-বি ধারায় এ মামলা করেন ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. ফজলুর রহমান। মামলার এজাহারে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এর পেছনে বিএনপি নেতাদের হাত আছে বলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের করা অভিযোগের কথাও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।