শিক্ষক লাঞ্ছনা : অ্যাটর্নির কার্যালয়ে প্রতিবেদন

নারায়ণগঞ্জে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ দোষীদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি)। একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পৃথক একটি প্রতিবেদনও রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
আগামী রোববার (২৯ মে) প্রতিবেদনগুলো আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক তদন্ত করে প্রতিবেদন আমাদের কাছে জমা দিয়েছেন।’
গতকাল বুধবার বিকেলে ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুটি প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়।
গত ১৩ মে শুক্রবার নারায়ণগঞ্জে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছেন—এমন অভিযোগ করে এলাকাবাসীর সামনে সেলিম ওসমানের নির্দেশে তাঁকে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয়। সমবেত জনতার কাছে করজোড়ে মাফ চাইতেও বাধ্য করা হয় ওই প্রধান শিক্ষককে। পরে সংসদ সদস্যের নির্দেশে প্রধান শিক্ষককে পুলিশের হেফাজতে স্কুল থেকে বের করা হয়। পরে ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ।
এ ঘটনার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ওঠে সমালোচনার ঝড়। এর একপর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।