শরীয়তপুরে নির্বাচনী সংঘর্ষে আহত ২০

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও দলটির বিদ্রোহী এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দুলাল মাদবর এবং বিদ্রোহী প্রার্থী আমিন উদ্দিন ঢালীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয় চারজনকে। এঁরা হলেন আরিফ বেপারী, ইউনুস, শরীফ ও মেহেদী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ইসলামপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান দুলাল মাদবর। অপরদিকে আনারস প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আমিন উদ্দিন ফালী।
নৌকার প্রার্থী দুলাল মাদবর দাবি করেন, সকালে ইসলামপুর ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় প্রচার চালাচ্ছিল তাঁর কর্মীরা। এ সময় আমিন উদ্দীন ঢালীর কয়েকজন সমর্থক মোটরসাইকেলে এসে তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা চারটি দোকান ভাঙচুর করে এবং নৌকার সমর্থক সিরাজ বেপারীকে (৬০) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজ বেপারীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, একপর্যায়ে সিরাজ বেপারীর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে নৌকার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরাও নতুন করে হামলার প্রস্তুতি নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ চলতে থাকে।
সংঘর্ষে জুয়েল বাঘা, মোস্তফা, সোলায়মান, শফিক ঢালী, আজগর খাঁ, রিপন সিকদার, মোতালেব সরদার, সালাম ভূঁইয়া, রিয়াজসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়।
নৌকার সমর্থক আবদুল হক ফকির ও এবাদুল হক ফকিরের বাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় ডামুড্যা থানা ও সদর থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী দুলাল মাদবর আরো দাবি করেন, ‘নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা তাঁর সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এখন এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য সমর্থক ও তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। আমার মোটরসাইকেলটিও ভেঙে ফেলেছে।’
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমিন উদ্দীন ঢালী দাবি করেন, ‘নৌকার সমর্থকরাই আমাদের ওপর আগে হামলা করেছে। আমার লোকজন তাদের প্রতিরোধ করেছে।’
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমন দেব বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনা জানতে পেরে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।’