চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর রোডে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত সরাসরি যাতায়াতকারী যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস চারদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের অভিযোগ, মেহেরপুর জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি অবৈধভাবে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করছে। ফলে চারদিন দুই জেলার বাসগুলো সীমানার মধ্যে চলাচল করছে। সমস্যার সমাধান না হলে কাল শুক্রবার থেকে এ সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট শুরু হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চুয়াডাঙ্গা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হাজি আব্দুল হালিম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গার মালিক গ্রুপের ২৮টি বাস প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা- মেহেরপুর জেলায় চলাচল করে। কিন্তু গত ৬ জুন মেহেরপুর জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি বাসের ট্রিপ প্রতি অতিরিক্ত ৬০ টাকা দাবি করে।
বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হাজি আব্দুল হালিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেহেরপুর সমিতির নেতারা চুয়াডাঙ্গার বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ ও শ্রমিকদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। কিন্তু যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে বার বার আমরা নিশ্চুপ থেকেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে সৃষ্ট সংকট নিরসন করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে লাগাতার ধর্মঘট চলবে।
একইসঙ্গে ধর্মঘটের পাশাপাশি আগামীকাল শুক্রবার থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার কোনো রুটে মেহেরপুর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সময় নিয়ন্ত্রক বিদ্যুৎ হোসেন জানান, মেহেরপুর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির দাবিকৃত অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষুব্ধ মেহেরপুর বাস মালিক সমিতির নেতাকর্মীরা তাদের মারধর করে এবং যাত্রী ছাড়াই বাসগুলো চুয়াডাঙ্গাতে ফেরত পাঠায়। এ ঘটনার পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় দুই জেলার মধ্যে সরাসরি বাস চলাচল।
চারদিন ধরে দুই জেলার বাসগুলো তাদের জেলার সীমানা পর্যন্ত চলাচল করছে। আর এতে রমজান মাসে চরম দুর্ভোগে পড়েছে দুই জেলার বাসযাত্রীরা।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ গোলাম রসুল বলেন, ‘আগে থেকেই চুয়াডাঙ্গার বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ মেহেরপুর পরিবহন মালিকদের কাছ থেকে গাড়িপ্রতি প্রতিদিন ৬০ টাকা করে নিয়ে থাকেন। একইভাবে আমরাও চুয়াডাঙ্গার গাড়িপ্রতি ৬০ টাকা দাবি করা হয়েছে। এটা মোটেও অন্যায় নয়।’