জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি আ. লীগ নেতা কারাগারে

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাসপুরের চাঞ্চল্যকর জোড়াখুন মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মালেক মোল্লাকে (৬০) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক শিরিন কবিতা আখতার তা নাকচ করে দিয়ে মালেক মোল্লাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি জীবননগরের গঙ্গাদাসপুরে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন মোহাম্মদ আলী ( ৫০) ও তাঁর চাচাতো ভাই শাহাবুদ্দীনকে (৫৫) নৃশংসভাবে বোমা মেরে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
এই ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ আলীর ছোট ভাই আবদুস সালাম বাদী হয়ে সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক মোল্লাসহ ৪২ জনকে আসামি করে ৬ জানুয়ারি জীবননগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে আবদুল মালেক মোল্লা সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরাজিত হয়। ওই নির্বাচন উপলক্ষে ৪ মে উচ্চ আদালতে জামিনের প্রার্থনা করলে ছয় সপ্তাহের জন্য তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয় এবং দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য বলা হয়।
ছয় সপ্তাহ পার হওয়ার পর আজ বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আবদুল মালেক মোল্লা। শুনানি শেষে বিচারক তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।