পরিবার ভেবেছিল হেলাল মারা গেছেন

জামালপুরের হেলাল উদ্দিনের বাড়িতে এখন আনন্দের বন্যা বইছে। তাঁকে ফিরে পেয়ে বাবা-মা, স্ত্রী, মেয়ে সবাই আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। তাঁরা ভেবেছিলেন, লিবিয়ায় আইএস জঙ্গিদের হাতে অপহৃত হেলাল উদ্দিনকে আর কোনোদিনও ফিরে পাবেন না। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ দিন জঙ্গিদের হাতে বন্দী ছিলেন তিনি।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে ঢাকায় ফেরার পর রাত ১টায় হেলাল মাদারগঞ্জ উপজেলার গজারিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে ফেরেন।
হেলালের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী জঙ্গিদের হাতে বন্দী ছিলেন। জীবিত আছে নাকি মারা গেছে, আমরা তার খোঁজ পাইনি। এখন ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরে এসেছে।আমরা সবাই খুব খুশি।’
বাবাকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে হেলালের মেয়ে হেলেনা বেগম বলেন, ‘আমার বাবাকে জঙ্গিরা অপহরণ করেছিল। শুনে আমরা অনেক কান্নাকাটি করেছি। আমরা ভেবেছিলাম, আমার বাবা মরে গেছে, তাঁকে আর ফিরে পাব না। মৃত বাবাকে ফিরে পেয়েছি। রাতে বাড়িতে এসেছেন। এখন আমরা অনেক খুশি। বাংলাদেশ সরকারকে অনেক ধন্যবাদ।’
মৃত আমাদ শেখের ছেলে হেলাল উদ্দিন অভাবের সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পাঁচ বছর আগে লিবিয়ায় যান। সেখানকার একটি তেল কোম্পানিতে কর্মরত অবস্থায় হেলাল উদ্দিন গত ৬ মার্চ অন্য আটজনের সঙ্গে অপহৃত হন। তাঁদের মধ্যে নোয়াখালীর আনোয়ার হোসেন ছিলেন। ১৮ দিন পর গত ২৫ মার্চ জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পান হেলাল উদ্দিন ও আনোয়ার। ছাড়া পাওয়ার পর বেশ কিছুদিন তাঁরা সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে, গতকাল রাতে ঢাকায় পৌঁছালেও এখনো বাড়ি ফিরে যাননি আনোয়ার। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামে তাঁর পরিবার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।