মনপুরা বাঁচাতে মানবপ্রাচীর

ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলাকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত মানুষ মানববন্ধন করেছে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে একপর্যায়ে সেটি দেড় কিলোমিটারের এক মানবপ্রাচীরে রূপ নেয়।
আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলা সদরের প্রধান সড়কে সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ-মনপুরার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচি চলাকালে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে এতে যোগ দেন।
এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ছোট ছোট শিশুরা ‘আর কোনো দাবি নাই, নদীভাঙন রোধ চাই’, ‘মেঘনার করাল গ্রাস থেকে মনপুরাকে বাঁচাও’, ‘নদীভাঙন রোধ চাই, নিরাপদে বাঁচতে চাই’, ‘আমরা পরিচয়হীন হতে চাই না’, ‘মনপুরাকে বাঁচাও, আমরা বাঁচতে চাই’ ইত্যাদি স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন বহন করে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন মনপুরা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাজাহান মিয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. মিলন মাতব্বর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবুল কাশেম মাতব্বর, আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির, হাজীর হাট হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোছলেহ উদ্দিন, ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার, ৪ নম্বর দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউপির চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ কাজল, মনপুরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আলমগীর হোসেন, হাজীর হাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মিয়া, সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ-মনপুরার উপজেলার সভাপতি, বেতারের ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার আনোয়ার হোসেন কবির প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এই মনপুরায় এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ‘চিন্তানিবাস’ গড়ে তোলেন, যা এখন হুমকির মুখে। তাই তাঁর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বক্তারা দাবি জানান মনপুরাকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষার করার।
বক্তারা আরো বলেন, প্রতিদিন মনপুরা মেঘনার করাল গ্রাসে বিলীন হচ্ছে। তাতে এখনই ব্যবস্থা না নিলে এ উপজেলা খুব শিগগির বিলীন হয়ে যাবে। আগামীর প্রজন্ম শুধু মনপুরার নাম শুনবে, বাস্তবে দেখতে পাবে না। একই সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবকে এই বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
এ সময় বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, ভোলার বাকি সব উপজেলা নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় শতাধিক কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তা হলে মনপুরার জন্য কেন হলো না?