আইএসের পেছনে ইহুদি-নাসারা : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, ইসলামিক স্টেট (আইএস) কোনো মুসলিম সংগঠন নয়। এটা ইহুদিদের সংগঠন। আর ইহুদি-নাসারাদের পরামর্শ বা সহযোগিতায় বাংলাদেশে আইএস হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে যশোর জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত কর্মশালায় হানিফ এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমাদের প্রিয় ধর্ম ইসলাম আজ আক্রান্ত। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত আমাদের মাতৃভূমি আজ সন্ত্রাসী-জঙ্গি হামলার শিকার। এ দুটি বিষয় নিয়ে দেশবাসী আজ উদ্বিগ্ন। এসব অপকর্ম দেশের ভেতরে থেকে করছে জামায়াত-বিএনপি এবং নেপথ্যে ইন্ধন দিচ্ছে ইহুদি-নাসারারা।’
জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন যশোর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। এ ছাড়া আরো বক্তৃতা করেন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক নাসিরুদ্দিন মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। কর্মশালায় যশোরের বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, মসজিদের ইমাম ও শিক্ষকরা অংশ নেন।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘ইসলামিক স্টেট কায়েমের নামে এই জঙ্গি সংগঠনটি ইরাকের তিন হাজার বছরের সভ্যতা ধ্বংস করেছে, সিরিয়ায় মুসলমানদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালাচ্ছে।’ আইএসকে ইসরায়েলি ইহুদিদের সংগঠন দাবি করে তিনি বলেন, ‘তারা মুসলিম অধ্যুষিত দেশে হামলা চালালেও ইহুদি-নাসারাদের তীর্থভূমি ইসরায়েলে কখনো হামলা চালায় না।’
হানিফ বলেন, ‘গুলশানের আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার পরপরই আইএসের মুখপাত্র হামলার দায় স্বীকার করে স্টেটমেন্ট দেয়। এটা প্রচার করে সাইট ইন্টেলিজেন্স। এই সাইট ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা করেন রিটা কার্টজ, যিনি ইহুদি বাবা-মায়ের সন্তান। তাঁর বাবা ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কারণে ইরাকে সাজাপ্রাপ্ত হন। এই রিটা কার্টজ পরিণত বয়সে মোসাদে জয়েন করেন এবং পরে স্বামীসহ আমেরিকা গিয়ে সিআইএর এজেন্ট হন।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে প্রথমে মুক্তচিন্তার মানুষদের ওপর হামলা শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন ধর্মের সেবায়েত, পুরোহিত, যাজকদের ওপর হামলা করা হয়। সর্বশেষ গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলা করেছে জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা। বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী মোসাদের এক ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাতের পরপরই দেশে গুপ্তহত্যা শুরু হয় বলে দাবি করেন তিনি।
হানিফ বলেন, এরই মধ্যে পাবনা, ঝিনাইদহ, গুলশান এবং শোলাকিয়ায় হামলার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে যে, তারা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। তিনি প্রশ্ন করেন, তবে কি জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরাই এখন আইএসের নামে জঙ্গি তৎপরতা শুরু করেছে।