কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফায় বন্যা, ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দ্বিতীয় দফার এ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার চিলমারী, উলিপুর, রৌমারী, রাজীবপুর ও সদর উপজেলার শতাধিক চর ও দ্বীপচরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
বন্যাকবলিত এসব এলাকায় রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় জেলার অন্যস্থানের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকার বেশির ভাগ নলকূপ পানিতে তলিয়ে থাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। চারণভূমি তলিয়ে থাকায় গবাদি পশু নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে বন্যাকবলিতরা।
তবে দুর্গত এসব এলাকায় সরকারি বা বেসরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বীরবিক্রম জানান, চিলমারী উপজেলার অষ্টমিরচর, নয়ারহাট, চিলমারী, রানীগঞ্জ, রমনা ও থানারহাট ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এ উপজেলায় ২০০ পরিবারকে প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি করে লবণ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে আরো বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।
তবে চরাঞ্চলের বেশির ভাগ বন্যাকবলিত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম দফা বন্যা থেকে শুরু করে দ্বিতীয় দফা বন্যা পর্যন্ত তারা কোনো ত্রাণসহায়তা পায়নি।
নদতীরবর্তী চর ও দ্বীপচরের মানুষজন এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে পড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে তাদের। জেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১০০ মেট্রিক টন চাল ও চার লাখ টাকা বরাদ্দ পেলেও তা এখনো বিতরণ করা হয়নি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে দুই সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে তিস্তা ও দুধকুমারের পানি।