মুসলিম জাহানের ধর্মীয় জমায়েত ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে মুসল্লিরা বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।

গত তিনদিনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ২২০ জন মুসল্লি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তবে এবারের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক কম সংখ্যক বিদেশি মুসল্লি বাংলাদেশে আসছেন বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে।

গত কয়েক মৌসুমে এই চেকপোস্ট দিয়ে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার বিদেশি মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসতেন। ইজতেমার দ্বিতীয় দফায় যোগ দিতে আরও কিছু বিদেশি মুসল্লি আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতীয় মুসল্লিরা বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে বাস কিংবা ট্রেনযোগে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে যাচ্ছেন। ইমিগ্রেশনের ভেতরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানায়, বিদেশি মুসল্লিদের অভ্যর্থনা জানানো, থাকা-খাওয়া ও ঢাকায় পাঠানোসহ সব কাজ দ্রুত করার জন্য তাবলিগ জামায়াতের ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল স্থলবন্দরে অবস্থান করছেন। তারা প্রতিদিন আগত মুসল্লিদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসছেন। এবার খুবই কম সংখ্যক মুসল্লিরা আসছেন। বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা বিদেশি মেহমানদের দ্রুততার সাথে পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনে পৃথক ডেস্ক খোলা হয়েছে। বিদেশি মেহমানদের পুলিশের ইমিগ্রেশন সদস্যরা সেবা দিচ্ছেন। তাঁদের সেবা করতে পেরে আমরাও খুশি।

আগামী সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি)) দ্বিতীয় পর্বে ঢাকার টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার শেষপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন ফজর বাদ আম বয়ানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে। আগামী বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ইজতেমার শেষ পর্ব।