শরীয়তপুরে ট্রলার চালককে কুপিয়ে হত্যা

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জপসা এলাকায় জাকির হোসেন হাওলাদার (৩৫) নামের এক ট্রলারচালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
জাকির হোসেন ওই গ্রামের ফয়জল হাওলাদারের ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা আছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ওই গ্রামের ছাত্তার মীর (৩৫) ও কেরামত হাওলাদার (২৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল জাকিরের গ্রামে প্রবেশ করে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা জাকিরকে বাড়ির উঠানে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা তাঁকে ঢাকায় পাঠান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান জাকির।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জপসা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মাদবর ও বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত বয়াতির সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে বুধবার রাতে শওকত বয়াতির সমর্থকরা এলাকায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আনোয়ার মাদবরের সমর্থক জাকির হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহত জাকিরের বাবা ফয়জল হাওলাদার বলেন, ‘আমরা আনোয়ার হোসেন মাদবরের সমর্থক। বুধবার রাতে শওকত বয়াতির সমর্থকরা গ্রামে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। আমার ছেলে বোমার শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বের হলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পরে সে মারা যায়। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
জপসা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত বয়াতি বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। এখানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। কারো সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই।’
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’