২০-২৫ বছরের জঙ্গিরা ছিল উচ্চশিক্ষিত : ডিএমপি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/07/26/photo-1469532480.jpg)
রাজধানীর কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানে নিহত ‘জঙ্গিদের’ প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষিত ছিল বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া। তবে কীভাবে তাদের এ পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেল সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
ডিএমপি কমিশনার শুধু বলেন, ‘নিহত জঙ্গিদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তাদের প্রায় অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত ছিল। পরনে কালো পাঞ্জাবি ও জিন্সের প্যান্ট ছিল। একজন ছাড়া বাকিদের সবার পায়ে কেডস ছিল।’
কল্যাণপুরে ‘স্টর্ম টোয়েন্টি সিক্স’ অপারেশন শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়।
২০ জুন ‘জঙ্গিরা’ এই বাসায় ওঠে এবং হামলার পরিকল্পনা করে এমন তথ্য জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, তাদের পোশাক, অস্ত্র ও হামলার ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে, গুলশানের রেস্টুরেন্টে হামলাকারী এবং নিহত এই নয় জঙ্গি একই গ্রুপের সদস্য।
আজ ভোরে কল্যাণপুরের ‘তাজ মঞ্জিল’-এ অভিযান চালায় পুলিশ। ছয়তলা এই ভবনটির মালিক আতাহার উদ্দিন আহমেদ। ওই ভবনের পাঁচতলায় ‘জঙ্গিরা’ থাকত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গিরা ছয়তলা ভবনের পঞ্চম তলা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে মেরেছিল। গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার ধরন, পোশাকসহ অন্যান্য সবকিছু কল্যাণপুরের নিহত জঙ্গিদের সঙ্গে মিল রয়েছে। প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে আমরা জানতে পেরেছি গুলশানে যারা হামলা করেছিল তারা একই গ্রুপের ছিল।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, হামলার পর ওই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৩টি স্থানীয়ভাবে তৈরি গ্রেনেড ১৯টি ডেটোনেটর, ৭ দশমিক ৬২ বোর রাইফেল, কিছু ম্যাগাজিন, তলোয়ার, ছুরি, হাতুড়ি, চাপাতি, আল্লাহু আকবর লেখা দুটি কালো পতাকা, গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে।