নূর হোসেনের স্ত্রী গ্রেপ্তারের পর কারাগারে
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/08/01/photo-1470053737.jpg)
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নূর হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করে। এর পরই নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সংস্থাটি।
মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. জুলফিকার আলী দুপুরে রুমা হোসেনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ রুমা হোসেনের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে আজ রুমা হোসেনের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৬২ লাখ টাকার তথ্য গোপন এবং পাঁচ কোটি তিন লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রমনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জুলফিকার আলী। এ ছাড়া সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে পৃথক একটি মামলা করে দুদক।
মামলা দায়েরের পর তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে নিজ বাসভবন থেকে রুমা হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা হোসেন ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিন কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেন। এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি তিন লাখ ২২ হাজার ১১৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। তাই জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের খোঁজ পাওয়ায় দুদক আইন ২০১৪-এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এর আগে ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুদকের সচিব আবু মো. মোস্তফা কামালের কাছে সম্পদের হিসাব জমা দেন নূর হোসেন ও তাঁর স্ত্রী রুমা হোসেন। ২০১৪ সালের ১৯ মে দুদক তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।
নূর হোসেন বর্তমানে সাত খুনের মামলায় কারাগারে আটক আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে বিচার চলছে।