১৬ জেলায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের ঘোষণা

ফিলিং স্টেশনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার লাইসেন্স গ্রহণের চাপ প্রয়োগ বন্ধ ও বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্স ফি কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে খুলনাসহ ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন ও ডিপো থেকে উত্তোলন বন্ধ রেখে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আগামী ২৯ আগস্ট এই ধর্মঘট পালন করা হবে।
বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি আজ শনিবার দুপুরে নগরীর খালিশপুরে সংগঠনের বিভাগীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ধর্মঘট আহ্বান করেন।
১০ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম হলো সকল লাইসেন্স অয়েল কোম্পানি কর্তৃক গ্রহণ ও নবায়ন করতে হবে। পেট্রলপাম্পের নিরাপত্তা বিধানে সব পেট্রলপাম্পে পুলিশের বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। সব তেল ডিপো থেকে একই মানসম্পন্ন পেট্রল, অকটেন, ডিজেল সরবরাহ করতে হবে এবং পর্যবেক্ষণের জন্য বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট)-এর সঙ্গে মালিক সমিতির প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পেট্রলপাম্প ব্যতিরেকে উন্মুক্ত স্থানে বোতলে পেট্রল বিক্রয় বন্ধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল ইসলাম কাবুল এবং বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি আবদুল গাফফার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে আবদুল গাফফার বিশ্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের আওতাধীন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানির তারা শুধু কমিশন এজেন্ট। অতীতে কোম্পানি হলে ফিলিং লাইসেন্স নবায়ন করত। ১৯৯০ সালে থেকে সেটা ফিলিং স্টেশনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ডিপো থেকে সরবরাহকৃত পেট্রল বা অকটেন মাঝেমধ্যে নিম্নমানের সরবরাহ করা হয়। সরকার বেসরকারি খাতে ১৭ থেকে ১৮টি কনডেনসেট মিনি রিফাইনারি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু তাদের উৎপাদিত জ্বালানি ভিন্ন ভিন্ন রং এবং মানও ভিন্ন ভিন্ন হচ্ছে। এই নিম্নমানের জ্বালানি নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ছেন এবং গাড়ির যন্ত্রপাতির ক্ষতি হচ্ছে। তাঁরা রিফাইনারি থেকে নিম্নমানের জ্বালানি সরবরাহ না করার জন্য সরকারের গৃহীত নীতিমালা পর্যবেক্ষণ ও তদারকির দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ২৮ আগস্টের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষযগুলো নিয়ে আলোচনা সভা আহ্বান না করলে ওই দিন কোনো ডিলার বা এজেন্ট ডিপো থেকে তেল উত্তোলন করবে না এবং পরবর্তীকালে লাগাতার ধর্মঘট আহ্বান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এই দুই সংগঠনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।