আশুগঞ্জে দুই ইউনিয়নবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ও তারুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। এ সময় কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। আহতদের আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকাল ১০টায় শরীফপুর ইউনিয়নের শাহ ফরাছত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের আবুল বাশার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছিলেন। পথে তারুয়া সড়কের মোড়ে তারুয়া গ্রামের রোমন, জামিল ও দিপনসহ ১০-১২ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। এ খবর শুনে শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া ও খলাপাড়া গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারুয়া গ্রামের লোকজনের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের বেশ কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়।
খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দাঙ্গা পুলিশ এসেও সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। তৃতীয় দফায় দুপুর ২টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে পুলিশ।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর জানান, শরীফপুর ইউনিয়নের শাহ ফরাছত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলমের নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আজ তারুয়া গ্রামের লোকজন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাশারকে মারধর করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।