খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে আজ সোমবার খুলনায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, শোকর্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, শিক্ষার্থীদের কবিতাপাঠ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প, বিশেষ দোয়া-মোনাজাতসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান।
শোক দিবসে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একরামুল হাবিব, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুব হাকিম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ।
জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিট কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির। অনুষ্ঠান শেষে যুবকদের মধ্যে যুবঋণ এবং শিশুদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সেরাদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় নিউমার্কেট চত্বর থেকে দিবসটি পালন উপলক্ষে শোকর্যালি বের করা হয়। র্যালিতে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের জনগণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি বাংলাদেশ বেতার খুলনায় গিয়ে শেষ হয়। পরে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজাসহ সবাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
এ দিনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিশু একাডেমি আলোচনা, কবিতাপাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সকাল ১০টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন আলোচনা, হামদ, নাত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। খুলনা জেলা তথ্য অফিস সন্ধ্যায় শহীদ হাদিস পার্কে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর নির্মিত ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করে।
শোক দিবস উপলক্ষে স্থানীয় পত্রিকাগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বাংলাদেশ বেতার খুলনা বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবনভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শন করে। বাদ জোহর কালেক্টরেট মসজিদ, পুলিশ লাইন জামে মসজিদ, টাউন জামে মসজিদসহ নগরীর বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করে।
জেলার সব উপজেলায় অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।