হার্ট অ্যাটাকে বঙ্গ বাহাদুরের মৃত্যু!
ভারত থেকে বন্যার পানিতে ভেসে আসা ‘বঙ্গ বাহাদুর’ নামের হাতিটি দীর্ঘদিন ঠিকমতো খাবার ও পানি খেতে পারেনি। অপরিচিত পরিবেশে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। সব মিলিয়ে শারীরিকভাবে সে অত্যন্ত দুর্বল ছিল। যে কারণে হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়।
এই কথা জানিয়েছেন হাতিটির ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল দলের প্রধান বন বিভাগের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। আজ মঙ্গলবার জামালপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার কয়ড়া এলাকায় হাতিটির মৃত্যু হয়।
হাতি উদ্ধারকারী দলের সদস্য ডা. সাঈদ হোসেন জানান, সোমবার দুপুরের দিকে হাতিটি অসুস্থ হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ে। এরপর থেকে সে আর দাঁড়াতে পারেনি। তার শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল। গতকাল দুপুর থেকে তার চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গ বাহাদুর মারা যায়।
এদিকে বঙ্গ বাহাদুরের মৃত্যুর প্রতিবাদে স্থানীয় গ্রামবাসী আজ বিক্ষোভ মিছিল করে। তাদের অভিযোগ, বন বিভাগের অবহেলায় হাতির মৃত্যু হয়। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানায়।
বনবিভাগের উদ্ধারকারী দলের প্রধান ড. তপন কুমার দে বলেছেন, ময়নাতদন্তের পর হাতির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য বনবিভাগের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটিকে সরিষাবাড়ীর কয়ড়া গ্রামে পুঁতে ফেলা হবে।
২৭ জুন প্রথম দফা বন্যার শুরুতে বানের পানিতে ভেসে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিল বন্য হাতিটি। প্রায় দেড় মাস সে কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়ানোর পর জামালপুরের সরিষাবাড়ী আসে। গত বৃহস্পতিবার ১১ আগস্ট চেতনানাশক দিয়ে হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর থেকে সে অস্থির ছিল। কয়েকদফা সে দড়ি ও শেকল ছিড়ে ছুটে গেলে ফের তাকে চেতনানাশক দিয়ে আটক করা হয়।