নিজাম হাজারীর এমপি পদে বৈধতা নিয়ে রায় আজ

ফেনী-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার।
বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
এর আগে ৩ আগস্ট নিজাম উদ্দিন হাজারীর পক্ষে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও রিটকারীর পক্ষে কামরুল হক সিদ্দিকী শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, নিজাম হাজারীর সাজা খাটা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই বিতর্কের সমাধান হতে হবে। এ বিষয়ে রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। ১৭ আগস্ট এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে।
নিজাম হাজারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এই রিট আবেদন জনস্বার্থ মামলা হিসেবে চলতে পারে না। কারণ, জনস্বার্থ মামলা হিসেবে গণ্য হতে যেসব উপাদান দরকার হয়, সেগুলো এর মধ্যে নেই।
‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে নিজাম উদ্দিন হাজারীকে নিয়ে ২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুই বছর ছয় মাস কম সাজা খেটে ২০০৫ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান, যা কারা কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে।
এর আগে একটি পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্যপদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া। ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট সংসদ সদস্য পদে থাকার প্রশ্নে রুল জারি করেন।
রিটে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁর মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। সে হিসেবে, নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছেন।