ভোলার লালমোহনে স্ত্রী ও দুটি পোষা ছাগলকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, ওই ব্যক্তি মানসিক রোগী।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লালমোহন সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাকলাই বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাকলাই বাড়ির আবদুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এই সমস্যার কারণে এর আগেও কয়েকবার তিনি তাঁর স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। আজ সকালে রাজ্জাক ভাত খেয়ে বাড়ির দুটি পোষা ছাগল সঙ্গে নিয়ে পাশের বিলে পাতাবনের কাছে যায়। সেখানে তাঁর সঙ্গে থাকা দুটি ছাগলকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন। খবর পেয়ে রাজ্জাকের স্ত্রী বিবি ফাতেমা বেগম ও তাঁর ভাইয়ের ছেলের স্ত্রী জান্নাত বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ্জাক তাঁর স্ত্রী বিবি ফাতেমা বেগমকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন। পরে জান্নাত বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজ্জাককে আটক করে। 

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মো. ইব্রাহীম খলিল জানান, রাজ্জাকের মাথায় সমস্যা ছিল। তাই তাঁকে আটকের পর গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। 
 
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে আবদুর রাজ্জাককে আটক করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছেন। তবে রাজ্জাক মানসিক রোগী বলে শুনেছেন জানান ওসি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।