চট্টগ্রামে আনসারুল্লাহর দুই সদস্য আটক

চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া এলাকা থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা (ডিবি)।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) জনসংযোগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপকমিশনার পরিতোষ ঘোষ।
আটক দুজন হলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখিল গ্রামের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (২৫) ও বাঁশখালী উপজেলার বানিয়ার দিঘি এলাকার রোকন উদ্দিন (২৪)। তাঁদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। রোকন উদ্দিন স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ডিবির একটি দল নগরীর বাকলিয়া থানার কে বি আমান আলী রোডের বড় মিয়া মসজিদের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে ওই দুজনকে আটক করে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিতোষ ঘোষ জানান, পুলিশ আটক দুজনের কাছ থেকে ১৩টি ‘জিহাদি’ বই ও দুটি মুঠোফোন জব্দ করেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, নিজাম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার শুরুতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, পিকলু দাস নামের এক ব্যক্তি ধর্মান্তরিত হয়ে মুসহাব ইবনে উমায়ের নাম ধারণ করে আনসারুল্লাহ বাংলার সক্রিয় সদস্য হিসেবে জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত হন। তিনি একাধিকবার নিজাম ও রোকন উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের জঙ্গি কর্মকাণ্ডে প্রলুব্ধ করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা স্বীকার করেন।
এদিকে নিজাম উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাঁকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গত রোববার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে পরিতোষ মণ্ডল সাংবাদিকদের জানান, নিজাম উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।