চিনিকলগুলো ঢেলে সাজাচ্ছে সরকার, কাটবে চাষিদের দুর্দিন

সরকার বাংলাদেশের চিনিকলগুলোকে আবার নতুন করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ কে এম দেলোয়ার হোসেন। এর ফলে দেশের আখচাষিদের আর দুর্দিন থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার তেঁতুলিয়া উপজেলার কাজিপাড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে পঞ্চগড় জেলায় ২০১৬-২০১৭ মৌসুমের আখ রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে আখ চাষিদের আর আখের মূল্যের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হবেনা। কারণ সরকার ই-ক্যাশের ব্যবস্থা করেছে। আখ মাড়াই শুরুর আগেই আখচাষিদের মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে অনুমতির ব্যবস্থা করা হবে। কোন চাষি কত তারিখে আখ কেন্দ্রে নিয়ে আসবে তারিখসহ জানিয়ে দেওয়া হবে। আখ ক্রয় কেন্দ্রে ডিজিটাল ওজন মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইক্ষু কেন্দ্রে ইক্ষু নিয়ে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্যাংকে মূল্য পরিশোধ করা হবে। আখ চাষিরা ম্যাসেজের মাধ্যমে সে সংবাদও পাবেন বলে জানান তিনি।
ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন আবিষ্কারের পেছনে ছুটছেন জানিয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগাছা মারার ওষুধ আবিষ্কারের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন বিজ্ঞানীরা। ভূর্তুকি এবং আখের দামও বাড়ানো হবে। এজন্য একটু সময়ের দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় পঞ্চগড় চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমদাদুল হক, তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহিন, বাংলাদেশ আখ চাষী সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু,পঞ্চগড় চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ঐক্যপরিষদের সভাপতি আনোয়ারুল হকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড় চিনিকল জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে ৯ হাজার একর জমিতে আখ রোপণের লক্ষ্যমাত্রাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। আখ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটন। আর চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার মেট্রিক টন।