মহাসড়কে অটোরিকশার পেছনে রাজনৈতিক মদদ

দেশের মহাসড়কে অটোরিকশা চালানোর পেছনে অনেকে রাজনৈতিক মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, চালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিং ও মহাসড়কে অটোরিকশার কারণে দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছে।
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে যানবাহন চালক ও মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ সব কথা বলেন। সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, সংসদ সদস্য শামসুল হক, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বক্তব্য দেন।
দেশের ২২টি মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক বন্ধ রাখার পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেও রাজনৈতিককর্মীরা অনেক ক্ষেত্রে আইন মানছে না। এ ছাড়া দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে লাখ লাখ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে। যা গণপরিবহন চলাচলে সংকট সৃষ্টি করছে।’ এ ছাড়া চট্টগ্রামে মিটারবিহীন সিএনজি না চালানো আহ্বান জানিয়ে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
দেশের মহাসড়কগুলোতে স্থাপিত একসেল জরিমানা আদায় করার জন্য নেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা করা হচ্ছে ওভারলোডকে নিরুৎসাহিত করতে।
দেশে যতই ফ্লাইওভার, ছয় লেইন ও আট লেইন করা হোক সড়কে শৃঙ্খলা না থাকায় এর সুফল জনগণ পাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘গত তিনদিনে মহাসড়ক ফাঁকা থাকলেও একদিনের দুর্ঘটনায় ১৬ জন মারা গেছেন। ভালো রাস্তা পেয়ে চালকরা বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
২২টি মহাসড়ক থেকে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে ৯০ ভাগ সফল হয়েছেন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘আরো ১০ ভাগ বাস্তবায়ন করতে পারিনি। অনেকে পেছন দিক থেকে রাজনৈতিক মদদ দিয়ে দেশের ক্ষতি করছে।’