বাদশা-নোভার বিয়ে, কাটল নিঃসঙ্গতা

চট্টগ্রামে প্রায় ১১ মাস ধরে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছিল নোভা। সময় যেন তার কাটতই না। নিঃসঙ্গ নোভার মেজাজটাও চড়া থাকত সব সময়। থাকাই স্বাভাবিক। রংপুরের বাদশার অবস্থাও ছিল অনেকটা সেই রকম। আর তাই বাদশাকে রংপুর থেকে নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রামে।
আর এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়েই ‘মিয়া-বিবির’ নিঃসঙ্গতা শেষ হওয়ার একটি সুযোগ আসে। বাকি ছিল শুধু কাজিকে রাজি করিয়ে দুজনকে ছ্যাঁদনা তলায় নিয়ে ‘এক’ করে দেওয়ার। সব অপেক্ষার শেষে সেই দিন এসেছে। বাদশা আর নোভার বিয়ের আয়োজন এখন সম্পন্ন। তাদের বিয়ে উপলক্ষে বানানো হয়েছে বিশাল মাংসের কেক! বর-কনের জন্য তৈরি করা হয়েছে সুসজ্জিত বাসরঘরও!
অতিথিরা নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেছেন বিয়ের এ আনুষ্ঠানিকতা। কেন, নিরাপদ দূরত্বে কেন? কারণ এ বিয়ের পাত্রপাত্রী উভয়েই খাচায় বন্দি পশু। বর বাদশা হচ্ছে একটি সিংহ। আর সিংহীর নাম নোভা। আজ বুধবার চট্টগ্রামের ফয়েস লেক চিড়িয়াখানায় উভয়ের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। পুরো আয়োজন করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
নোভা আর বাদশার বিয়ে উপলক্ষে সাজানো হয়েছে চিড়িয়াখানা। প্রবেশপথের বেলুনগেট অতিক্রম করে কিছুটা ভেতরে ঢুকেই বিয়ের আসরে উপস্থিত হন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এ অনুষ্ঠানে অবশ্য চিড়িয়াখানার অন্যান্য খাঁচায় থাকা পশু-পাখিদের সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি নিরাপত্তার স্বার্থে। আর সিংহের বিয়ে বলে দর্শনার্থী অতিথিদেরও অনুষ্ঠান উপভোগ করতে হয়েছে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে।
বাদশা আর নোভা- এই নবদম্পতির জন্য তৈরি করা হয়েছে গরুর মাংসের কেক আর সুসজ্জিত বাসরঘরও। শুরু থেকে আলাদা খাঁচায় থাকলেও বিয়ের পর নবদম্পতিকে কিছু সময়ের জন্য এক খাঁচায় থাকার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও নির্বাহী হাকিম মোহাম্মদ রুহুল আমিন।