বরিশালে লঞ্চডুবি : ২৬ লাশ উদ্ধার

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় সন্ধ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ ‘ঐশী প্লাস’-এর আরো তিন যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন দুজন।
আজ শুক্রবার সকালে সন্ধ্যা নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই তিনজন হলেন বানারীপাড়ার মনোয়ারা বেগম (৪৫), উজিরপুরের আল্পনা রানী (২৫) ও একই এলাকার আট বছরের শিশু জিদান।
গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের দাসেরহাট মজিদবাড়ী লঞ্চঘাট এলাকায় লঞ্চটি ডুবে যায়।
পরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি টেনে পানির উপরিভাগে তোলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক’। এর পর লঞ্চ থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করেন নৌবাহিনীর ডুবুরিরা। গতকাল রাত পর্যন্ত ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যাত্রী জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বানারীপাড়া লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চটি ৪০-৫০ জন যাত্রী নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা উজিরপুরের হাবিবপুরে যাচ্ছিল। পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লঞ্চটি সন্ধ্যা নদীর ভাঙনকবলিত দাসেরহাট মজিদবাড়ী ঘাটে ভেড়ে। যাত্রী ওঠানামার একপর্যায়ে নদীতীরের একটি বিরাট অংশ ভেঙে লঞ্চের ওপর পড়লে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একদিকে কাত হয়ে তীব্র স্রোতে তলিয়ে যায়।
ডুবে যাওয়ার আগমুহূর্তে লঞ্চ থেকে তীরে ওঠা যাত্রী উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আলেয়া বেগম জানান, ঘাটে ভেড়ার পর মাত্র সাত-আটজন যাত্রী তীরে উঠতে পারে। এর পরই লঞ্চটি ডুবে যায়।
খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়। এরপরও ডুবুরিদের একটি দল ঘটনাস্থলের আশপাশে নিখোঁজদের সন্ধানে রয়েছে।