খুলনা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাসের সঙ্গে সুধীজনের সংলাপ শনিবার সকালে খুলনা সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নগর কর্তৃপক্ষ টেকসই উন্নয়নের অন্যতম শর্ত’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে খুলনা সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)।

অনুষ্ঠান ভারপ্রাপ্ত মেয়র জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে সাতশ-আটশ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যাবে। বাজেটে কেসিসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পুরো কার্যক্রমকে আপগ্রেড করা হবে। আগামী জানুয়ারি থেকে এ সেক্টরে আটশ আউটসোর্সিং ওয়ার্কার নিয়োগ দেওয়া হবে। তারা প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করবে এবং সরাসরি বাসা থেকে ময়লা সংগ্রহ করবে। নগরীর খোলা ড্রেন ভেঙে পাইপ ড্রেন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে ড্রেনে সরাসরি ময়লা ফেলা যাবে না এবং দ্রুত পানি অপসারিত হবে। প্রতিবন্ধী ও নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনেও সিটি করপোরেশন গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আগত সুধীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। নগরীতে পাঁচ হাজার ইজিবাইক চলাচলে লাইসেন্স প্রদানের বিষয়ে তিনি জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের পরেই সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নেবে। নগরীতে ‘স্পিড হাম’ তৈরি করা হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এগুলো তৈরি করা হচ্ছে পথচারী ও প্রতিবন্ধীদের পারাপারের উদ্দেশ্যে। এতে কোনো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে না এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ হবে।

ভারপ্রাপ্ত মেয়র জানান, শিপইয়ার্ড সড়ক সম্প্রসারণের টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান এবং আগামী এক মাসের মধ্যে এর কাজ শুরু হবে। নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই ভাঙা হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেসিসির নিজস্ব উদ্যোগে মশা মারার ওষুধ তৈরির কাজ হাতে নেওয়া হচ্ছে। অর্থসাশ্রয়ের পাশাপাশি এটি মশা নিধনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। জনগণের হয়রানি লাঘবে নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে নগর ভবনের নিচতলায় ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে সিটি করপোরেশনের পাঁচজন কর্মচারীকে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন খুলনা সনাক-এর সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শীলু। স্বাগত বক্তব্য দেন করেন সনাকের সদস্য অধ্যাপক জাফর ইমাম। এতে খুলনার সুশীলসমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।