জমিতে কীটনাশক দেবে ড্রোন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে পরীক্ষামূলকভাবে কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী একটি ড্রোনের সফল উড্ডয়ন করা হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের পক্ষ থেকে এই ড্রোন তৈরি করা হয়।
ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র কাজী মাহমুদ হাসান ড্রোনটি তৈরি করেন।
সোমবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘ড্রোনটি প্রাথমিকভাবে ৮০ ফুট উঁচু দিয়ে উড্ডয়ন করে এবং কীভাবে কৃষিজমিতে কীটনাশক ছিটাবে, তা দেখানো হয়। এ ছাড়া উঁচুতে আমগাছ বা অন্যান্য ফলদ গাছেও প্রয়োজনে কীটনাশক ছিটাতে পারবে এটি।’
সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ড্রোনটি তৈরি ও উড্ডয়ন করা হয়েছে। ড্রোনের গতি ঘণ্টায় ৩৮ কিলোমিটার। প্রতি মিনিটে পাঁচ কাঠা জমিতে কীটনাশক ছিটাতে পারবে ড্রোনটি।
‘অটোনমাস মাল্টিফাংশনাল ড্রোন এটি। ড্রোনটি কীটনাশক স্প্রে, মনিটরিং/সারভেইলেন্স, আবহাওয়া-সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া এতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রোটেড ক্যামেরা সংযুক্ত করা সম্ভব হবে।’
ড্রোনটির বর্ণনা দিয়ে মো. শামীম আহসান জানান, পাঁচ কেজি ওজনের ড্রোনটি একবারে ২৫ মিনিট উড়তে পারবে। এর সর্বোচ্চ উড্ডয়ন উচ্চতা ২০০ মিটার। এটি তিন লিটার কীটনাশক বহনে সক্ষম। এ ছাড়া কৃষির অন্যান্য কাজে কীভাবে ড্রোনটি ব্যবহার করা যায়, তা ভেবে দেখা হচ্ছে। খুব শিগগির এটির আনুষ্ঠানিক উড্ডয়ন উদ্বোধন করা হবে বলে জানান প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান ড্রোন প্রকল্পের গবেষকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।