খালেদা জিয়া নিজেই বিপ্লব থামিয়ে দিয়েছেন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিন সিটি করপোরশেন নির্বাচনে ‘নীরব বিপ্লবের’ ডাক দিয়ে নিজেই সেই ‘বিপ্লব’ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
আজ বুধবার দুপুরে শহরের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ছাত্রলীগকে সাহসের সাথে দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আগামী কয়েক বছর খুব সাহসের সাথে, সতর্কতার সাথে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমি প্রশংসা করি যারা নেতৃত্বে ছিলে, তারা এখন দায়িত্ব ছেড়ে দেবে। কিন্তু এমন একটা ছাত্রলীগ থাকতে হবে যে ছাত্রলীগ শেখ হাসিনাকে সাহায্য করবে, বিব্রত করবে না।’
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বলেন, ‘ইলেকশন ডাকা হলো। শেখ হাসিনা ইলেকশন ডাকলেন, নির্বাচন কমিশন ইলেকশন করলেন। বিএনপি ইলেকশনে নামল।
শেখ হাসিনা এমন একজন নেত্রী, তিনি বলেছিলেন, আমার অধীনে নির্বাচন করতে হবে। খালেদা জিয়া মাথা নত করে, কোর্টে সারেন্ডার করে ঘরে ফিরে যেয়ে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করেছেন। শেখ হাসিনা এমন নেত্রী তিনি আজকে খালেদা জিয়াকে শুধু নির্বাচন করান নাই, নির্বাচনের সময় হাতে লিফলেট ধরিয়ে দিয়েছেন প্রচার করার জন্য, লিফলেট ধরিয়ে দিয়েছেন পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে।’
‘ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। (এ সময় উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন) এই বলে নাই ভাই, ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। বলছিলেন, ভোট গণনা করে বাড়ি ফিরে যাবেন। নীরব বিপ্লব হবে। কোথায় নীরব বিপ্লব হলো? নীরব বিপ্লব হয়তো হতো। কিন্তু খালেদা জিয়া নিজেই সেই বিপ্লব থামিয়ে দিয়েছেন। আমাদের বলার কিছু নাই, উনি নিজেই বিপ্লব থামিয়ে দিয়েছেন।
ইলেকশন করতে দিলেন না তাঁর দলকে, সমর্থকদেরকে। তার ফলে কী হলো, আল্লার রহমতে, শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী তিনজন জয়লাভ করল।’
খালেদা জিয়াকে জামায়াত ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে মোহাম্মদ নাসিম আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে আঁতাত করার কারণেই আজ বিএনপির অনেক নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গ ত্যাগ করছেন। আগামীতে সারা দেশের মানুষ তাঁকে বর্জন করবে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল লতিফ বিশ্বাস, সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন মিলন, সংসদ সদস্য অধ্যাপক হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ মণ্ডল, নারী সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম স্বপ্না, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়।
ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন এবং সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রধান বক্তা হিসেবে সম্মেলনে বক্তব্য দেন।