টু মেনি আইন ইন দিস কান্ট্রি : অর্থ প্রতিমন্ত্রী

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘সংসদ সদস্যদের কাজ শুধু আইন বানানো নয়, সেটা করবে আমলারা, এমপিদের কাজ শুধু এক মিনিটে হাত তুলে আইনটা অনুমোদন করা।’ এ সময় তিনি ব্যক্তিগতভাবে জেলা বাজেটের মতো ‘অবাস্তব’ ধারণার সাথেও দ্বিমত পোষণ করেন।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গভর্নেন্স অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত ‘আর্থিক বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার বাজেট’বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্যরা স্থানীয় উন্নয়নে তাঁদের ওপর কর্তৃত্ব করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান সংসদ সদস্যদের এই কর্তৃত্বকে সমর্থন জানান।urgentPhoto
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যার টাকা সে খবরদারি করবেই। আমাদের শুধু আইন বানানোর কাজে ঠেলে দেবেন না, আইন বানানোর কাজ শেষ। টু মেনি আইন ইন দিস কান্ট্রি। এমনি পথে-ঘাটে আইন পড়ে আছে, কেউ আইন মানেও না। সাড়ে ৩০০ মেম্বার এক রুমে বসে হৈচৈ করে আইন বানাবে, দে আর কুড নট বি আইন, এটা অন্য কিছু হতে পারে।’
‘সুতরাং আমি বিনীতভাবে আপনাদের নজরে এইটা আনলাম যে, আমাদের কাজ শুধু আইন বানানো নয়। আমাদের কাজ মানুষের কল্যাণ করা। আইন বানানো মোটেও আমাদের কাজ নয়, অনুমোদন করা আমাদের কাজ। আইন অনুমোদন করা আমাদের কাজ। এবং সেটা মাত্র এক মিনিটের ব্যাপার। হুইপ হাত তুললে আমরা হাত তুলি। উই নট এ শেইম। না, না, এটা লজ্জার বিষয় নয়। ইংল্যান্ডেও তাই হয়।’
সভায় স্থানীয় সরকারের বরাদ্দ বৃদ্ধি ও জেলা বাজেটের পক্ষে মত এলেও প্রতিমন্ত্রী জেলা বাজেটের বিপক্ষে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জিলা বাজেট, আমি ব্যক্তিগত পর্যায়ে বলছি যে, এটা সম্ভব নয়। অর্থনীতির যাঁরা শিক্ষক আছেন তাঁরা বুঝতে পারবেন। একটা ইউনিটারি ফর্ম অব গভর্নমেন্ট, একটা সিঙ্গেল ব্যুরোক্রেসি, একটা সিঙ্গেল পার্লামেন্ট, সিঙ্গেল এভরিথিং- সেখানে জিওগ্রাফি এরিয়াভিত্তিক বাজেট কীভাবে করবেন। সরকার যেহেতু আমার বস, আপনাদের অনুরোধে হোক বা চাপে হোক, আমিও এটা অবশ্যই তার সাথে থাকব। বাট, আমি আমার নিজের কথা বললাম। আমি মনে করি, এটা প্র্যাকটিক্যাল কোনো আইডিয়া নয়।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি গভর্নেন্স অ্যাডভোকেসি ফোরামের চেয়ারম্যান বলেন, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের ওপর আমলাদের প্রভাব থাকলে স্থানীয় সরকার কার্যকর হবে না।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এম এম আকাশ প্রমুখ।