বাবার খুনের ঘটনায় মেয়েদের সংবাদ সম্মেলন

মায়ের পরকীয়ার জের ধরে বাবার খুনের ঘটনার ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহত আরোজ আলীর মেয়ে তাসলিমা খাতুন। শনিবার মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে তাসলিমা খাতুন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তাসলিমা অভিযোগ করেন, তাঁর মা রোজিনা খাতুন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের সাইফুল, মন্টু এবং সদর উপজেলার বেঙ্গা বেরইল গ্রামের বেল্লালের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। এমনকি তাসলিমা ও নুপুর নামে দুই মেয়েকে বাবা আরোজ আলীর কাছে ফেলে রেখে রোজিনা বেল্লালকে বিয়ে করে প্রায় দেড় বছর ধরে ঘর সংসার করেছেন।
এদিকে দুই মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তা করে আরোজ আলী রোজিনা খাতুনকে কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। এরপরও রোজিনা বেল্লাল মন্টু ও সাইফুল নামের তিনজনের সঙ্গে সুকৌশলে পরকীয়ার সম্পর্ক চালিয়ে যান। তাসলিমা জানান, এ সব নিয়ে মা রোজিনার সঙ্গে তার বাবা আরোজ আলীর প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ চলছিল।
এতে ক্ষুব্ধ রোজিনা প্রেমিকদের সঙ্গে নিয়ে গত ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আরোজ আলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বাড়ির পাশের নদীতে ফেলে দেয়। মেয়ে তাসলিমা খাতুন ঘটনার রাতে বাবার পাশের কক্ষে থাকায় এ খুনের ঘটনা দেখে ফেলেন। পরদিন ২৪ জুলাই সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও রোজিনাকে গ্রেপ্তার করে। পরে আসামী সাইফুল ও বেল্লালকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত রোজিনা,সাইফুল ও বেল্লাল এ খুনের ঘটনা সম্পর্কে ম্যাজিষ্টেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছঅড়া পুলিশ তদন্ত শেষে এসব আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও দিয়েছে। তবে এরইমধ্যে জামিনে যেয়ে আসামী বেল্লাল, লিটন ও তাদের সহযোগী টিক্কা এ মামলার অন্যতম স্বাক্ষী আরোজ আলীর মেয়ে তাসলিমা ও বোন মেরিনা খাতুনকে অপহরণ ও খুন গুমের হুমকি দিয়েছে। এছাড়া কিছুদিন আগে তাসলিমাকে অপহরণের চেষ্টাও করা হয়।
এতে গোটা পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সংবাদ সম্মেলনে নিহত আরোজ আলীর মা আশুরা বেগম,বোন মেরিনা খাতুন ও অপর মেয়ে নুপুর খাতুন উপস্থিত ছিলেন।