খাদিজার ওপর হামলাকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযোগপত্র

সিলেট এমসি কলেজে খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর হামলাকারী বদরুল আলমের বিরুদ্ধে দ্রুতই অভিযোগপত্র দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগে সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, হামলাকারীর বিরুদ্ধে সব আলামত রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, হামলাকারীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নাহিদ বলেন বলেন, ‘খাদিজার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়াসহ ব্যক্তিগতভাবে সিলেট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে আসছি। এরই মধ্যে হামলাকারী দুর্বৃত্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সকল আলামত থাকায় দ্রুত এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া সম্ভব হবে।’
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সরকার অত্যন্ত আন্তরিক এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার ডিগ্রি (পাসকোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম (২৭)। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাঁকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এরই মধ্যে আজ সিলেটের আদালতে খাদিজার ওপর হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বদরুল আলম। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আট বছর ধরে খাদিজাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তিনি। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত শেষ পর্যন্ত তাঁর ওপর হামলা চালান বদরুল।
ঘটনার দিন গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছেন খাদিজা। গতকাল চিকিৎসকরা বলেছেন, ৭২ ঘণ্টা পর তাঁর অবস্থা সম্পর্কে বলা যাবে। আজ বুধবারও খাদিজার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।