বদরুল ছাত্রলীগকে প্রতারিত করেছে : শাবি ছাত্রলীগ

সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর হামলাকারী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্র মো. বদরুল আলম ছাত্রলীগকে প্রতারিত করেছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
আজ বুধবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার বিষয়টি গোপন করে ছাত্রলীগে পদ নেওয়ার মাধ্যমে বদরুল যে চাতুরতা দেখিয়েছেন, সেটা স্পষ্টত অন্যায়। এখন সাংবিধানিকভাবে তিনি ছাত্রলীগের কোনো সদস্য না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। বর্তমান কমিটিতে পদ পাওয়া কারো বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে আছে শাখা ছাত্রলীগ।
লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, সন্ত্রাসী বদরুল আলমের এই নৃশংসতা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত। এ অপরাধের দায়ভার কোনোভাবেই শাবি ছাত্রলীগের ওপর আসতে পারে না। হামলাকারী বদরুল চাকরিরত থাকায় তাঁর সঙ্গে সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় শাবি ছাত্রলীগ ব্যথিত, দুঃখিত এবং লজ্জিত।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানসহ জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩ অক্টোবর শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের ১ নম্বর সহসম্পাদক বদরুল আলম এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন। বর্তমানে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাঁকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার আলহাজ আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার দাস এনটিভি অনলাইনকে জানান, খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ২০১৪ সালে তাঁরা বদরুল আলমকে নিয়োগ দেন। স্কুলটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এবং সে সময় বদরুল স্নাতক পাস না করায় শুধু উচ্চ মাধ্যমিক সনদ থাকায় তাঁকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই সময় থেকেই স্কুলটিতে বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণের ক্লাস নিতেন তিনি। তবে এ জন্য কোনো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতেই বদরুল তাঁদের স্কুলে পড়াতেন বলে জানান পবিত্র কুমার দাস।
এদিকে ওই নিয়োগের প্রায় দুই বছর পর চলতি বছরের ৮ মে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ওই কমিটির ১ নম্বর সহসম্পাদক বদরুল আলম। অর্থাৎ খণ্ডকালীন চাকরিতে থাকাবস্থায় তাঁকে ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়।