‘নব্য জেএমবি’র প্রধান আশুলিয়ায় অভিযানে নিহত
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/10/21/photo-1477042365.jpg)
‘নব্য জেএমবি’র সর্বশেষ প্রধান ছিলেন সরোয়ার জাহান, যাঁর সাংগঠনিক নাম শাইখ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ। তিনি রাজধানীর উপকণ্ঠ আশুলিয়ায় র্যাবের অভিযানে পালাতে গিয়ে পাঁচতলা থেকে পড়ে নিহত হন।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিএসইসি ভবনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
র্যাবের ডিজি বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি আস্তানায় অভিযানের সময় নিহত রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম হোতা হিসেবে পরিচিত তামিম চৌধুরী একাধিকবার সরোয়ার জাহানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মধ্য দিয়ে নব্য জেএমবির বাংলাদেশে তাদের সাংগঠনিক সামর্থ্য ও অবস্থান জানান দেয়। সে হামলায় জেএমবির সদস্যদের হাতে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ মোট ২০ জন নিহত হয়। পরে সেনাবাহিনী পরিচালিত অপারেশন থান্ডারবোল্টে ছয় জঙ্গি নিহত হয়।
ওই ঘটনার পর সারা দেশে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নামে পুলিশ-র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত সব বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর কল্যাণপুর, মিরপুর, আজিমপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ঢাকার উপকণ্ঠ আশুলিয়ায় মোট আটটি অভিযান চালানো হয়। এতে ৩১ জঙ্গি নিহত হয়।
ওই অভিযানগুলোর পর উদ্ধার করা আলামত বিশ্লেষণ করে নব্য জেএমবির সাংগঠনিক কাঠামোসহ পুরো চক্রকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের ডিজি। তিনি বলেন, “তামিম দেশে এসে সম্ভবত ‘জুনোতাত তাওহিদ’ নামে সংগঠনটি গঠন করে এবং তার পরে জেএমবির এই যে সরোয়ার জাহানের নেতৃত্বে যে ফ্যাকশনটি (অংশ) আছে, এই ফ্যাকশনটির সঙ্গে সে ঐক্য গড়ে তোলে এবং এরাই গত এক বছরে ইনফ্যাক্ট এদের মূলধারার সঙ্গে চেষ্টা করেছে এন্টায়ার (পুরো) জেএমবিকে এই ধারায় আনার জন্য।”
‘এদের প্রত্যেকের আবার থিওরিটিক্যাল (তাত্ত্বিক) লাইন আলাদা। ইসলামিক থিওরিটিক্যাল লাইন আলাদা। থিওরিটিক্যাল লাইন আলাদা থাকার কারণে এরা সর্বাংশে সফল হতে পারে নাই।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আবু হানিফ মারা যাওয়ার দুই দিন আগে ৬ অক্টোবর, সেখানে লেখা যে তাদের কাছে একটা একে-২২ রাইফেল আছে। পাঁচটা হ্যান্ডগান আছে। ৩৩ জন সদস্য আছে, অ্যাকটিভ মেম্বার (সক্রিয় সদস্য)। ৮ তারিখের পরে, তাহলে ৮ তারিখে আমরা একে-২২ রাইফেল উদ্ধার করেছি এবং সব হ্যান্ডগান উদ্ধার করেছি। তার মানে হলো, তাদের কাছে এই মুহূর্তে কোনো হ্যান্ডগান নাই। একে-২২ রাইফেল নাই। যদি ৮ তারিখ থেকে ২০ তারিখ এই ১২ দিনের মধ্যে অন্য কিছু সংগ্রহ করে না থাকে।’
‘৩৩ জন অ্যাকটিভ মেম্বার থেকে কিন্তু ৮ তারিখে ১২ জন মারা গেছে। তাহলে থাকল হচ্ছে ২১ জন এবং ২১ জনের মধ্যে তিনজন হচ্ছে শুরা মেম্বার। তাহলে ১৯ জন হচ্ছে মিড লেভেল অ্যান্ড ফাইটিং লেভেল।’