খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর

আগামী ৩ ডিসেম্বর শনিবার খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দলের কার্যনির্বাহী কমিটির ১০ সাধারণ সভায় সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। বুধবার নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে ৫ থানা বিএনপির সম্মেলন। সম্মেলনের তারিখ ও সময় অচিরেই নির্ধারণ করা হবে।
মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সামছুজ্জামান চঞ্চল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার গভীর রাতে জানান, বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু সভায় সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে এই সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা পরিচালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) বরখাস্ত হওয়া মেয়র মনিরুজ্জামান মনি। সভায় মোট ২৭ জন বক্তা আলোচ্যসূচির ওপর মতামত দেন।
তাঁদের বক্তৃতায় দলের সাংগঠনিক তৎপরতা, সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতির নানা দিক ও অগ্রগতি, কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন এবং দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের ফলে তৃণমূল পর্যায়ে দলের সমর্থকদের সার্বিক মনোভাবের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সদ্য ঘোষিত ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা। আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততাহীন ও নানা সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িতরা কমিটিতে স্থান পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তাঁরা। এ ছাড়া ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনে কর্মসূচি গ্রহণে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রস্তাব।
আলোচনা শেষে আগামী ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক অথবা মহারাজ চত্বরে জমায়েত ও সমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। সভা থেকে ২৭ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সভা থেকে কেন্দ্র ঘোষিত ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে সৃষ্ট বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতিতে দলের সব আন্দোলন সংগ্রামের রাজপথের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। রাজনীতির ময়দানে অনুপস্থিত, সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ও নানা কারণে বিতর্কিতদের বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তা কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই সঙ্গে অচিরেই উদ্ভূত সমস্যার সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সমাধান হবে বলে সভা থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
সভা থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বহিষ্কৃত পাঁচ ছাত্রদল নেতা জোবায়ের আলম তোয়াজ, মিজানুর রহমান বাবু, কে এম বেলাল হোসেন, কে এম হেলাল হোসেন ও মোল্লা সোহেল নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে দলে ফিরে আসার লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে সব কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
সভায় বক্তব্য দেন মীর কায়সেদ আলী, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, স ম আবদুর রহমান, ফখরুল আলম, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, শেখ হাফিজুর রহমান, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দীপু, শফিকুল আলম তুহিন, শের আলম সান্টু, আজিজুল হাসান দুলু, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, শেখ সাদী, সাদিকুর রহমান সবুজ, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, এইচ এম এ সালেক, শেখ ইমাম হোসেন, হাসানউল্লাহ বুলবুল, অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান ও আলমগীর হোসেন বাদশা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, জলিল খান কালাম, অ্যাডভোকেট বজলার রহমান, অ্যাডভোকেট এস আর ফারুক, মো. শাহজালাল বাবলু, অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ, কাজী মো. রাশেদ, রেহানা ইসা, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ আমজাদ হোসেন, শেখ নজরুল ইসলাম বাবু, অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা, মো.শাহজাহান, জালু মিয়া, হাসিবুল হক বাবলা, এহতেশামুল হক শাওন, নিজাম উর রহমান লালু, আনোয়ার হোসেন, গিয়াসউদ্দিন বনি, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, মুর্শিদ কামাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, কে এম হুমায়ুন কবির, একরামুল কবির মিল্টন, শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, আবদুল আজিজ সুমন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, মুজিবর রহমান ফয়েজ, হাসিনা আকরাম প্রমুখ।