নওগাঁয় সরকারিভাবে ধান-চাল কেনার প্রক্রিয়া শুরু

চলতি বোরো মৌসুমে নওগাঁর চালকল মালিকদের কাছ থেকে ৬৩ হাজার ৯৪৯ টন চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে চার হাজার ২২৮ টন ধান কিনবে খাদ্য বিভাগ। জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলার ১৯টি এলএসডির মাধ্যমে উল্লেখিত পরিমাণ ধান ও চাল কেনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে ধান-চাল কেনার এ প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ।
এখন চলছে চালকল মালিকদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের কাজ। চুক্তি সম্পন্ন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে বোরো মৌসুমের চাল সংগ্রহ শুরু হবে বলে জানা গেছে। আর নিজেদের উৎপাদিত চাল জেলা সদরসহ ১১ উপজেলার গুদামগুলোতে সরাসরি বিক্রি করতে শুরু করেছেন কৃষকরা। সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর থেকে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নওগাঁর কৃষক ও চালকল মালিকরা।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে ধান এবং চালকল মালিকদের কাছ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্তের আলোকে নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলার ১৯টি খাদ্যগুদামের মাধ্যমে এখন চলছে চালকল মালিকদের চুক্তি সম্পাদনের কাজ। ৩১ মে পর্যন্ত এই চুক্তি সম্পাদন করা হবে।
খাদ্য বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বোরো মৌসুমে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৩৮৯ টন ধান, ২৩ হাজার ৬৫৫ টন চাল; আত্রাই উপজেলায় ৪৬৩ টন ধান, এক হাজার ৬৮৬ টন চাল; রানীনগর উপজেলায় ৩৯২ টন ধান, চার হাজার ৩৬৮ টন চাল; মহাদেবপুর উপজেলায় ৫৫১ টন ধান, ২৪ হাজার ৩১৭ টন চাল; পত্নীতলা উপজেলায় ৪৫১ টন ধান, দুই হাজার ১৭৫ টন চাল; ধামইরহাট উপজেলায় ৩৭৭ টন ধান, এক হাজার ১১৯ টন চাল; সাপাহার উপজেলায় ১৭৬ টন ধান, ৩৫ টন চাল; পোরশা উপজেলায় ২১৮ টন ধান, এক হাজার ২৫৩ টন চাল; মান্দা উপজেলায় ৪৬৬ টন ধান, দুই হাজার ১৫০ টন চাল; বদলগাছী উপজেলায় ৩০০ টন ধান, এক হাজার ৪২৮ টন চাল এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৪৪৫ টন ধান ও এক হাজার ৬৬৩ টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।
চালকল মালিকদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের কাজ শেষে সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে সরকারের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান ও চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার দুই লাখ দুই হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে চাল উৎপাদন হয়েছে আট লাখ টন।