কুড়িগ্রামে দাসিয়ারছড়ায় ভোটার তালিকা নিয়ে বিক্ষোভ
অধুনালুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় ঠিকভাবে ভোটার তালিকা প্রণয়ন না করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে সাবেক ছিটমহলবাসী।
এ ছাড়া এর প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির হয়ে দাসিয়ারছড়ার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ অংশের সাবেক সভাপতি মইনুল হক নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে দাসিয়ারছড়া থেকে কুড়িগ্রাম শহরে বিক্ষোভ-মিছিল করে কয়েকশ নারী-পুরুষ। পরে তারা কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে চিলমারী-কুড়িগ্রাম সড়কে মানববন্ধন করে। পরে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাপা প্রার্থী মইনুল হক অভিযোগ করেন, ২০১১ সালে ছিটমহলে জনগণনায় সাত হাজার ১৩১ জনের তালিকা থাকলেও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন মাত্র দুই হাজার ৭০০ মানুষ।
বিলুপ্ত ছিটমহলের সাবেক এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর ছিটমহলের মানুষের মুক্তি মিললেও বিপুলসংখ্যক মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ফুলবাড়ী উপজেলার ভেতরে থাকা তিনটি ইউনিয়নের ছয়টি পৃথক ওয়ার্ডের সঙ্গে বিলুপ্ত ছিটবাসীকে বিভক্ত করে দিয়েছে, যা ছিটমহলবাসীদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার মতোই।’
তিনি জানান, আগামী ৩১ অক্টোবর ফুলবাড়ী সদর, ভাঙ্গামোড় ও কাশিপুর ইউনিয়নের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। অধুনালুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার ভোটারদের বিভক্ত করে পার্শ্ববর্তী এই তিন ইউনিয়নের ভোটার করা হয়েছে।
মইনুল হক বলেন, ‘ছিটমহলবাসী প্রত্যাশা করেছিল দাসিয়ারছড়াকে একটি স্বতন্ত্র ইউনিয়ন হিসেবে পাওয়ার। আমি বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের সঙ্গে একমত হয়ে আগামী ৩১ তারিখের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে সরে দাঁড়াচ্ছি।’